প্রথমত নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীকে সম্মান জানিয়ে চট্টগ্রামের দৈনিক পত্রিকাসমূহ নাগরিকদের সুচিন্তিত মতামত প্রকাশের প্রেক্ষাপটকে সহজ করার জন্য এবং নগরবাসীর চাওয়াপাওয়া, আগ্রহ অনুভূতিগুলোকে সুন্দরভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পত্রিকায় উপস্থাপন করার জন্য সম্মানিত সম্পাদকবৃন্দ দেরকে অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করছি। পাশাপাশি নগরবাসীর দাবীকে আমলে নিয়ে চসিকের সাময়িক দৌড়ঝাঁপ কে ও একেবারে অবমূল্যায়ন করতে পারিনা। ধন্যবাদ জানাই
তাঁদেরকেও। এক্ষেত্রে নগরপিতার চেষ্টাও আমরা লক্ষ্য করেছি। সফলতা-ব্যর্থতা মূল্যায়নের দায়িত্ব জনগনের। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় যে, আমরা কপাল পোড়া জনগনের কপাল কি জীবনভর এভাবে পুড়তে থাকবে? নগরবাসীর আজন্ম লালিত স্বপ্নগুলো এইভাবেই অন্ধকারের অতল গহব্বরে তলিয়ে যেতে থাকবে? এ জনপদ ও জনপদের অধিবাসীদের চাওয়াপাওয়া কি দিন দিন এইভাবেই উপেক্ষিত হতে থাকবে? অশুভ ও অপশক্তির কাছে আমরা জনগন আর কতদিন জিম্মি হয়ে থাকবো? কতদিন জনগনের দাবীগুলো এভাবে সন্ত্রাসের কালোথাবায় নিষ্পেষিত হতে থাকবে? বিলবোর্ডের মত সামান্য এই একটি সমস্যা সমাধান করতে যেখানে আমাদের প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে সেখানে নগরের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধান করতে আমাদের নগরপিতা কতটুকু সফহল হবেন সেই প্ররশ্নটিই এখন জোরালোভাবে দেখা দিয়েছে। আমাদের মাননীয় মেয়রসাহেব কি পারেননা, শক্ত হাতে এসব অপশক্তি কে গুঁড়িয়ে দিতে? এই নগরের নগরপিতা তিনি। এই নগরের অধিকাংশ নাগরিকের সমর্থন নিয়ে তিনি নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর উপর যেমন নাগরিকদের অধিকার রয়েছে তেমনি নাগরিকদের উপরেও তাঁর সমান অধিকার রয়েছে। তিনি কি পারেননা সর্বস্তরের নাগরিকদের সাথে নিয়ে নগরের এসব সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে? তাঁর উচিত বিলবোর্ড সহ যাবতীয় সমস্যাগুলো নগরবাসীদেরকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সমাধান করা। আমরা মনে করি সর্বস্তরের নাগরিকদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক কমিটি গঠন করে নগরের সৌন্দর্য রক্ষায় নগরপিতা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নগরের সৌন্দর্য রক্ষা তথা নগরের উন্নয়নে নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা
নগরপিতার প্রচেষ্টাকে আরও গতিশীল করবে আশা করি।
২৭/০৩/১৩-চট্টগ্রাম
তাঁদেরকেও। এক্ষেত্রে নগরপিতার চেষ্টাও আমরা লক্ষ্য করেছি। সফলতা-ব্যর্থতা মূল্যায়নের দায়িত্ব জনগনের। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় যে, আমরা কপাল পোড়া জনগনের কপাল কি জীবনভর এভাবে পুড়তে থাকবে? নগরবাসীর আজন্ম লালিত স্বপ্নগুলো এইভাবেই অন্ধকারের অতল গহব্বরে তলিয়ে যেতে থাকবে? এ জনপদ ও জনপদের অধিবাসীদের চাওয়াপাওয়া কি দিন দিন এইভাবেই উপেক্ষিত হতে থাকবে? অশুভ ও অপশক্তির কাছে আমরা জনগন আর কতদিন জিম্মি হয়ে থাকবো? কতদিন জনগনের দাবীগুলো এভাবে সন্ত্রাসের কালোথাবায় নিষ্পেষিত হতে থাকবে? বিলবোর্ডের মত সামান্য এই একটি সমস্যা সমাধান করতে যেখানে আমাদের প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে সেখানে নগরের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধান করতে আমাদের নগরপিতা কতটুকু সফহল হবেন সেই প্ররশ্নটিই এখন জোরালোভাবে দেখা দিয়েছে। আমাদের মাননীয় মেয়রসাহেব কি পারেননা, শক্ত হাতে এসব অপশক্তি কে গুঁড়িয়ে দিতে? এই নগরের নগরপিতা তিনি। এই নগরের অধিকাংশ নাগরিকের সমর্থন নিয়ে তিনি নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর উপর যেমন নাগরিকদের অধিকার রয়েছে তেমনি নাগরিকদের উপরেও তাঁর সমান অধিকার রয়েছে। তিনি কি পারেননা সর্বস্তরের নাগরিকদের সাথে নিয়ে নগরের এসব সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে? তাঁর উচিত বিলবোর্ড সহ যাবতীয় সমস্যাগুলো নগরবাসীদেরকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সমাধান করা। আমরা মনে করি সর্বস্তরের নাগরিকদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক কমিটি গঠন করে নগরের সৌন্দর্য রক্ষায় নগরপিতা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নগরের সৌন্দর্য রক্ষা তথা নগরের উন্নয়নে নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা
নগরপিতার প্রচেষ্টাকে আরও গতিশীল করবে আশা করি।
২৭/০৩/১৩-চট্টগ্রাম
ইদানিং বিলবোর্ড সমস্যা চট্টগ্রামের জন্য একটি বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাচ্যের রানী খ্যাত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি চট্টগ্রাম এখন অবৈধ বিলবোর্ড - সাইনবোর্ড ইত্যাদির দখলে। যে কারনে চট্টগ্রাম শহরকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি বলা হয় সেই নয়নাভিরাম সৌন্দর্যগুলি দিন দিন ঢেকে যাচ্ছে বিলবোর্ড নামক অশুভ ও অপশক্তির কালোছায়ায়। এটিকে এখন সৌন্দর্যের নগরী না বলে বিলবোর্ডের নগরী বললে অত্যুক্তি হবেনা। বিলবোর্ডের এই যত্রতত্র যথেচ্ছ অপব্যাবহার
নিরসনে সম্প্রতি চট্টগ্রামের দৈনিক সংবাদপত্র সমুহের সম্মানিত সম্পাদকবৃন্দগণ সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসেছেন। প্রিয় নগরীর হারানো রূপ লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে তাঁদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ও প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণও প্রশংসনীয় ভুমিকা রেখেছে। মাননীয় মেয়র সমীপে সম্পাদক বৃন্দদের স্মারকলিপি প্রধানের প্রেক্ষিতে মেয়র সাহেবও তাঁদেরকে এব্যাপারে আশ্বস্থ করেছিলেন। এছাড়া পরবর্তীতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশেও মাননীয় মেয়র সাহেব জনগণকে নগরীর সৌন্দর্য রক্ষায় যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় কিছু কার্যক্রমের সুত্রপাত হয়েছিল এবং অল্পকদিন তা অব্যাহত ছিল। সাময়িকভাবে চসিকের সার্বিক তৎপরতায় একটি দায়িত্ববোধ ফুটে উঠেছিল। বিলবোর্ড সহ বেশকিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছিল। জনগন কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিল। তারপর কি থেকে যে কি হলো হঠাৎ চসিকের কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসল। এর কারন ব্যাখ্যা করে অযথা কাউকে বা কোনো মহলকে হেয় পতিপন্ন করার বিন্দুমাত্র মানসিকতা আমার নেই। তবে যে কথা না বললে নয় তাতো আজন্ম আমাকে বলতেই হবে বিবেকের তাড়নায়।
No comments:
Post a Comment