যানজট বাংলাদেশের নতুন সমস্য নয়। এটি একটি চিরাচরিত ব্যাধির মত নাগরিক জীবনের আষ্টেপৃষ্ঠে লেগে আছে। আর চট্টগ্রামের যানজট সেতো বলাই বাহুল্য। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামের যানজট বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। বেড়েছে নগরবাসীর দুর্ভোগ ও ব্যাস্ততা। যানজটের কারনে নগরবাসীর বিভিন্ন যোগাযোগ ও কর্মস্থলে নেমে আসছে চরম হতাশা এবং স্থবিরতা। কর্মক্ষম মানুষের নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সময়। দিন দিন বেড়ে চলেছে এর তীব্রতা। নাগরিক জীবন-যাপন হয়ে উটছে কঠিন থেকে কঠিনতম। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সর্বস্তরের জনগন। স্কুলগামী
ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অফিসগামী বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবি, চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী, সর্বোপরি খেটে খাওয়া মানুষ কেউই রেহাই পাচ্ছেনা এই দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের উত্তরপূর্ব দিক অক্সিজেন মোড় হয়ে কালুরঘাট ব্রিজ থেকে শুরু করে দক্ষিণপশ্চিম দিক ৩য় কর্ণফুলী শাহআমানত ব্রিজ হয়ে নগরীর ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড পর্যন্ত কোথায় নেই যানজট? সবখানেই তীব্র যানজট । তদুপরি এর ফলে সৃষ্ট বায়ুদূষণ ও শব্দ দূষণের কারনে নাগরিক জীবন অতিষ্ঠপ্রায় এবং প্রকারান্তরে রাষ্ট্রীয় অত্যাচারের শিকার। নগরবাসীর একমাত্র বিনোদোনের স্থান পতেঙ্গা সীবীচে যাবেন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে তাও রীতিমতো "সাত সাগর তের নদী" পার হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। পরিবার-পরিজন তথা কোমলমতি শিশুসন্তান নিয়ে হয় রোদ্রের অসহ্য দাবদাহ নয়তো বিরামহীন বৃষ্টির মাঝে এক অসহনীয় পরিস্থিতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা-লাইনের পর লাইন আর অসংখ্য যানবাহনের হর্ন এমনি এক সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়ত করতে হয় প্রতিনিয়ত আমাদের। নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার-সাজার করার জন্য ভালো কোনো বাজার বা মার্কেটে যাবেন সেখানেও যানজট অত্যাচারে নগরবাসীর ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। যেদিকেই যাবেন যানজটের গোলক ধাঁধায় আবদ্ধ নগরবাসী। একেতো যানজট অত্যাচার উপরন্তু যন্ত্রদানব ও যন্ত্রপশুদের আগ্রাসী ভূমিকার কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝরে যাচ্ছে অনেক মূল্যবান প্রান। তাছাড়া ওয়ান বাই-টু বাই লেইন এর তোয়াক্ষা করছেনা কেউই। ট্রাফিক আইন-কানুনের ধার ধারছেনা, যার যেদিকে খুশি পার হয়ে যেতে পারলেই ব্যাস! যেন প্রানে বেছে গেল। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে হয়তো অচীরেই প্রাচ্যের রানী চট্টগ্রাম প্রাচ্যের দাসীতে পরিনত হয়ে পড়বে। পরিনত হবে এক অচল নগরীতে যা কখনোই আমাদের কাম্য নয়।
ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অফিসগামী বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবি, চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী, সর্বোপরি খেটে খাওয়া মানুষ কেউই রেহাই পাচ্ছেনা এই দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের উত্তরপূর্ব দিক অক্সিজেন মোড় হয়ে কালুরঘাট ব্রিজ থেকে শুরু করে দক্ষিণপশ্চিম দিক ৩য় কর্ণফুলী শাহআমানত ব্রিজ হয়ে নগরীর ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড পর্যন্ত কোথায় নেই যানজট? সবখানেই তীব্র যানজট । তদুপরি এর ফলে সৃষ্ট বায়ুদূষণ ও শব্দ দূষণের কারনে নাগরিক জীবন অতিষ্ঠপ্রায় এবং প্রকারান্তরে রাষ্ট্রীয় অত্যাচারের শিকার। নগরবাসীর একমাত্র বিনোদোনের স্থান পতেঙ্গা সীবীচে যাবেন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে তাও রীতিমতো "সাত সাগর তের নদী" পার হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। পরিবার-পরিজন তথা কোমলমতি শিশুসন্তান নিয়ে হয় রোদ্রের অসহ্য দাবদাহ নয়তো বিরামহীন বৃষ্টির মাঝে এক অসহনীয় পরিস্থিতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা-লাইনের পর লাইন আর অসংখ্য যানবাহনের হর্ন এমনি এক সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়ত করতে হয় প্রতিনিয়ত আমাদের। নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার-সাজার করার জন্য ভালো কোনো বাজার বা মার্কেটে যাবেন সেখানেও যানজট অত্যাচারে নগরবাসীর ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। যেদিকেই যাবেন যানজটের গোলক ধাঁধায় আবদ্ধ নগরবাসী। একেতো যানজট অত্যাচার উপরন্তু যন্ত্রদানব ও যন্ত্রপশুদের আগ্রাসী ভূমিকার কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝরে যাচ্ছে অনেক মূল্যবান প্রান। তাছাড়া ওয়ান বাই-টু বাই লেইন এর তোয়াক্ষা করছেনা কেউই। ট্রাফিক আইন-কানুনের ধার ধারছেনা, যার যেদিকে খুশি পার হয়ে যেতে পারলেই ব্যাস! যেন প্রানে বেছে গেল। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে হয়তো অচীরেই প্রাচ্যের রানী চট্টগ্রাম প্রাচ্যের দাসীতে পরিনত হয়ে পড়বে। পরিনত হবে এক অচল নগরীতে যা কখনোই আমাদের কাম্য নয়।
একদিকে যানজট অত্যাচার অন্যদিকে বিলবোর্ডের মহামারি রূপধারণ নাগরিক জীবনের সুখ-সাচ্ছন্দ্য গ্রাস করে চলেছে দিন দিন। কোথায় যাবে নগরবাসী? এমনি এক চরম সন্ধিক্ষনে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা তথা নগরবাসীর দাবীসমুহ ও মতামতকে গুরুত্ব প্রধানে চট্টগ্রামের সংবাদপত্রসমুহ বিশেষভাবে দৈনিক পূর্বকোন যে মহান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে সমকালীন যুগে এর দৃষ্টান্ত বিরল। অভিনন্দন জানাই দৈনিক পূর্বকোন সহ চট্টগ্রামের সকল সংবাদপত্র সমুহকে।
যাযজট-এটি একটি জটিল সমস্যা। এই জটিল সমস্যা নিরসনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট মহলকে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রশাসনের কাজ হচ্ছে উদ্যোগ গ্রহন করা আর জনগনের কাজ হচ্ছে প্রশাসনকে সাহায্য করা। উভয়ের যৌথ কর্ম প্রচেষ্টায় এই নগর তথা আমাদের প্রিয় শহরকে বাচাতে হবে। বাচাতে হবে শহরের মানুষকে। তাছাড়া এককভাবে কোনোকিছুই করা সম্ভব নয়। এর প্রতিকারে প্রশাসনের পাশাপাশি নাগরবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে। সকলকে যথাযতভাবে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে তথা ট্রাফিক আইন মানার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বাস, মিনিবাস, সিএনজি, অটোরিকশা মোটকথা পাবলিক যানবাহন গুলো যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা বন্ধ করতে হবে এবং নির্দিষ্ট স্থান থেকে লোড-আনলোড করতে হবে। দিনের বেলায় মালবাহী ট্রাক চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। রিকশাচালক দেরকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দেখা যায় যে অনেক ক্ষেত্রে রিকশার কারণেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তারপরে আছে বড় গাড়ীগুলোর বেপরোয়া ভাব। এটি অবশই রোধ করতে হবে। অদক্ষ ও অপ্রশিক্ষিত গাড়ীচালকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে ব্যাক্তিগত প্রাইভেট গাড়ীগুলো ব্যাতীত অন্যান্য সকল যানবাহনগুলোর মধ্যে ট্রাফিক আইন নামার প্রবনতা বেশী লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ভুমিকা রাখতে হবে। পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করে এ বিভাগকে উন্নত প্রযুক্তির আওতায় আনতে হবে। ট্রাফিক পুলিশকে দুর্নীতি মুক্ত হতে হবে। আর তার জন্য সরকারকে ট্রাফিক পুলিশের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করে তাদের দুর্নীতি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। তবে পেশাদার দুর্নীতিবাজ পুলিশদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি লাইসেঞ্চ বিহীন, অপরিপক্ষ এবং বেপরোয়া গাড়ীচালক ও রিকশাচালকদের দেখামাত্র সাথেসাথে কঠোর শাস্তি ও জরিমানার ব্যাবস্থা করতে হবে। নগরির যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মত হকার্সদের দৌরাত্ব এবং ফুটপাত দখল বন্ধ করতে হবে। সরকারিভাবে তাদেরকে পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদেকেও এগিয়ে আসতে হবে। সর্বোপরি সিসিসি এবং সিডিএ কর্তৃক বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়ন ও সংস্কারে কচ্ছপ গতি যানজট সৃষ্টির আরেকটি অন্যতম কারন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুলো যদি দ্রুত তাদের সংস্কার বা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গুলি শেষ করতে পারতো তাতেও নগরীর বর্তমান অচলাবস্থা বহুলাংশে হ্রাস পেতো। যানজট নিরসন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করণ তথা নগরোন্নয়নের অপরিহার্য শর্ত। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া যাবেনা। এই মানসিকতা নিয়ে সবাইকে স্বস্ব অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের ভুমিকা অপরিসীম। ট্রাফিক পুলিশ আন্তরিক ভাবে চাইলে যানজট সমস্যা অনেকাংশে হ্রাস করতে পারে। কিছু অসাদু পুলিশের জন্য বদনামী থাকলেও দক্ষতার ক্ষেত্রে আমাদের পুলিশ প্রশাসনের সুনামও রয়েছে।কথায় বলে পুলিশ চাইলে কি না করতে পারে। সুতরাং যানজট নিরসনে মূলত ট্রাফিক পুলিশ প্রশাসনকেই অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছাই পারে নগরবাসীকে একটি সুন্দর এবং যানজট মুক্ত নগরী উপহার দিতে। আমারা আশা করবো আমাদের ট্রাফিক পুলিশ এই ব্যপারে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে এ নগর তথা নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে।
No comments:
Post a Comment